সকাল ১০টার পরই বাজারে আসা মানুষজনকে লাঠি হাতে সরাল পুলিস
সকাল দশটা পার হয়ে যাওয়ার পরও রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় দেখা গেল বাজারে ঘুরছেন মানুষজন, সবজি নিয়ে বসে রয়েছেন বিক্রেতারা।
বাঁকুড়া
আংশিক লকডাউনের নির্দিষ্ট সময়সীমার পরেও অবাধে খোলা বাঁকুড়া(Bankura) শহরের বেশিরভাগ বাজার হাট। প্রশাসনের একেবারে নাকের ডগায় বাঁকুড়ার মাচানতলা বাজারে বেলা সাড়ে দশটাতেও খোলা জামা কাপড় থেকে শুরু করে সবজি, ফলের ফুটপাথ-বাজার। আর সেই বাজারে কেনাকাটার জন্য ভিড়ও রীতিমত চোখে পড়ার মতো। চেম্বার অফ কমার্স এর দাবি লক ডাউনের প্রথম দিন হওয়ায় ব্যবসায়ীদের সমস্যা হচ্ছে। তবে সকলকে সরকারি নির্দেশিকা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।
বেলা দশটার পরও বাঁকুড়া শহরের মাচানতলা, ফ্যান্সি মার্কেট সহ অন্যান্য বাজারে কমবেশি প্রায় সব দোকান খোলা ছিল। আর এই খবর পুলিসের কাছে পৌঁছাতেই পুলিস কোমর বেঁধে ময়দানে নামে। অভিযান চালিয়ে সমস্ত দোকান বন্ধ করে দেওয়া হয়।
কাটোয়া
সকাল দশটার পর খোলা দোকান, বাজার শপিংমল বন্ধ করতে পুলিসি অভিযান শুরু। কাটোয়া শহরের কাছারি রোড, গোয়েঙ্কা মোড়, স্টেশন বাজার এলাকায় সরকারি নির্দেশকে অমান্য করে দশটার পরও দোকান,বাজার খোলা রেখে ব্যবসা করছিলবেশ কিছু ব্যবসাদার। কাটোয়া থানার পুলিস সবজি বাজারে এসে বাজার বন্ধ করে। এছাড়াও খুলে রাখা শপিং মল, দোকান বন্ধ করে দেয়। করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সরকারি নির্দেশে আংশিক লকডাউনের বিধি ব্যবসায়ী থেকে সাধারণ মানুষকে পালনে বাধ্য করাতে পুলিসি তৎপরতা চরমে।
নদিয়া
সরকারি নির্দেশিকা মেনে দশটা বাজতেই ব্যবসায়ীরা বাজার ঘাট দোকানপাট বন্ধ করা শুরু করল নদিয়ায়। পাশাপাশি মাইকে প্রচার চালাচ্ছে পুলিস। রাস্তায় লোকজন কম। সরকারি নির্দেশ মানছেন মানুষজন।
চন্দ্রকোনা
লাঠি হাতে চন্দ্রকোনা বাজার বন্ধ করল পুলিস। চন্দ্রকোনা টাউন রেগুলেটেড মার্কেটে সকাল ১০টার পরেও চলছিল বাজার। সেই বাজার বন্ধ করতে অভিযানে নামে পুলিস। সতর্ক করা হয় বিক্রেতাদের। প্রসঙ্গত করোনা সংক্রমণ ঠেকাতে সকাল ৭ টা থেকে ১০ টা পর্যন্ত বাজার খোলা রাখার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার। বাধ্যতামূলক ভাবে ব্যবহার করতে হবে মাস্ক, সাফ জানানো হয়েছে প্রশাসনের তরফে। তবে এরপরেও সচেতনতার অভাব বাজারে আসা ক্রেতা বিক্রেতাদের একাংশের মধ্যে। কেউ বাজারে এসেছে বিনা মাস্কেই, কারুর মাস্ক ঝুলছে থুথনিতে। সাতসকালে মেদিনীপুর শহরের গেটবাজার সহ জেলার ঘাটাল, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনা বাজার এলাকায় উঠে এল এমনই চিত্র। প্রশ্ন করলে উঠে আসছে নানান অজুহাত।সকাল থেকেই বাজার গুলিতে দেখা গেল প্রশাসনের পক্ষ থেকে মাইকিং করতে। তবে সবজি বিক্রেতারা জানান এত কম সময় দেওয়ায় তারা ক্ষতিগ্রস্থ হবেন।
জলপাইগুড়ি
একদিকে বাধা সময়। অন্যদিকে ভোর রাত থেকে অবিরাম বৃষ্টি । উপায় নেই। তাই অনেকেই সাত সকালে ছাতা মাথায় থলি নিয়ে বাজারের পথে ৷ বহু মানুষের দাবি, লকডাউনের জন্য কাজ বন্ধ হয়ে গেল। গরিব খেটে খাওয়া মানুষেরা ফের বিপাকে পড়লেন। অনেকের মত সরকারের এই সিদ্ধান্ত পাগলের মতো। তবে শহরের অধিকাংশের অভিমত, আগে জীবন বাঁচাতে হবে। সাময়িক অসুবিধা হলেও সরকারের সিদ্ধান্তকে সাধুবাদ জানাই ৷ সকাল থেকে জেলা জুড়ে বৃষ্টি পড়লেও লকডাউন কার্যকারি করতে পুলিসের টহলদারি অব্যহত। রাস্তাঘাট একপ্রকার শুনশান।
বর্ধমান
বেলা দশটা বেজে গেলেও এখনো সবজি বাজার খোলা। বর্ধমানের(Bardhaman) তেঁতুলতলা বাজারে সরকারি নির্দেশিকা অমান্য করে দিব্যি বিকিকিনি চলছে।ব্যবসায়ীরা বলছেন, সবজি রয়ে গেছে, কী করবো?
রামপুরহাট
সরকারের ঘোষনা মতো দশটা বাজতেই রামপুরহাটে দোকান বাজার বন্ধ করতে অভিযানে নামল পুলিস। করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ কমাতে গতকালই আংশিক লকডাউনের নির্দেশিকা জারি করেছে রাজ্য সরকার। জেলা জুড়ে একই চিত্র। তবে সব জায়গায় দোকানপাঠ বন্ধ করা যায়নি। বোলপুর বাজারে দেখা নেই প্রশাসনের লোকজনের।
আরামবাগ
সকাল দশটা বাজার সঙ্গে সঙ্গেই আংশিক লক ডাউন সফল করতে ময়দানে নেমে পড়ল আরামবাগ থানার পুলিস। সাথে র্যাফ নিয়ে কখনও ধমক আবার কখনও বা বুঝিয়ে দোকান পাট বন্ধ করতে শুরু করে দেয় পুলিস। দোকান বন্ধের পাশাপাশি রাস্তার ধারে বসা বাজারও তুলে দেন তাঁরা।
খড়গপুর
দশটা বাজতেই তৎপর পুলিস। দোকান বন্ধকরতে কোথাও ধমক দিচ্ছেন পুলিস। কোতাও বোঝানো হচ্ছে। যদিও কাল পুলিস জানিয়েছিল আজকের দিনের জন্য সামান্য ছাড় থাকবে। কিন্তু আজ থেকেই তৎপর পুলিস প্রশাসন। অন্যদিকে উপচে পড়া ভিড় দোকানে দেখতেই মেজাজ হারালেন তৃণমূলের দাপুটে নেতা জহর পাল। দোকানদার থেকে ক্রেতাদের ধমক, দূরত্ব বিধি না মানলে কোনও মাল দেবেন না। এক বছর পুরোনো স্মৃতি ফিরছে বাজারজুড়ে। সামাজিক দূরত্ব বিধি মানার জন্য চুন দিয়ে মার্ক এর কাজ শুরু করলেন দাপুটে তৃণমূল নেতা।
#imdiamews #lockdown2 #coronaupdates
https://www.facebook.com/111072543588726/posts/511467216882588/?app=fbl
Comments
Post a Comment