সলমানকে খুনের হুমকি 'সিরিয়াস'! পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার বন্দুক...

সলমানকে খুনের হুমকি 'সিরিয়াস'! পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার বন্দুক...

Salman Khan House Attacked: সলমানকে খুনের হুমকি 'সিরিয়াস'! পাশের পুকুর থেকে উদ্ধার বন্দুক...

জি ২৪ ঘণ্টা ডিজিটাল ব্যুরো: ১৪ এপ্রিল বলিউড অভিনেতা সলমান খানের বাড়ির বাইরে চলেছিল গুলি। তারপর থেকেই সলমানের সুরক্ষা নিয়ে তৎপর মুম্বই পুলিস। ঘটনার দুদিন পরই অভিযুক্তদের গ্রেফতার করে মুম্বইয়ের অপরাধ দমন শাখা। এর একদিন পর গ্রেপ্তার করা হয় তৃতীয় এক অপরাধীকে। তাদের জবানবন্দি অনুযায়ী তাপি নদী থেকে একটি বন্দুক উদ্ধার করে পুলিস।

এবার ওই জায়গা থেকেই উদ্ধার করা হয়েছে দ্বিতীয় বন্দুক। সঙ্গে মিলল তিনটি ম্যাগাজিন। যার মধ্যে ১৭ টি গুলি। ১৬ এপ্রিল সলমান খানের বাড়ির সামনে গুলি চালানোর ঘটনায় গুজরাটের ভুজ থেকে দুজনকে গ্রেফতার করে মুম্বই ক্রাইম ব্রাঞ্চ। ধৃতরা বিহারের বাসিন্দা। মুম্বই পুলিসের বিশেষ টিম গুজরাটে গিয়ে দুই অভিযুক্তকে গ্রেফতার করে। জানা গিয়েছে, ধৃতদের নাম ভিকি গুপ্তা (২৪) ও সাগর পাল (২১)। 

জেরার সময়, অভিযুক্তরা জানিয়েছিল যে তাঁরা মুম্বই থেকে পালানোর সময় ভুজ যাওয়ার পথে রেলওয়ে ব্রিজ থেকে তাপি নদীতে অস্ত্রগুলি ফেলে দিয়েছিল। দুটি বন্দুকই এখন পুলিসের কাছে। প্রায় আট ঘণ্টা খোঁজাখুঁজির পর পুলিস একটি পিস্তল এবং আরও চার ঘণ্টা পর দ্বিতীয় অস্ত্র ও ১৭টি গুলি খুঁজে পায়।

সলমানের বাড়ির সামনে ভোর ৫ টা নাগাদ একটি মোটরবাইকে করে এসে তারা ৪ রাউন্ড গুলি চালায়। জেরার মুখে অপরাধীরা স্বীকার করেছে যে তাদের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র ভয় দেখানো ছিল। ভাইজানকে মারার নির্দেশ ছিল না। পুলিস সূত্রে খবর, দুই যুবকই বিহারের চম্পারণের। দু’জনই শুটার হিসাবে কুখ্যাত বলেও খবর। লরেন্স বিষ্ণোইয়ের ভাই আনমোল বিষ্ণোই একটি সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে ঘটনার দায় স্বীকার করেছেন। তিনি নাকি যুক্তরাষ্ট্রে বসে সলমানের বাড়িতে গুলি চালানোর ছক কষেন। মুসেওয়ালার হত্যার ঘটনার পর থেকে আনমোল পলাতক।

১৯৯৮ সালের কৃষ্ণসায়র হরিণ শিকারের ঘটনায় নাম জড়িয়েছিল সলমানের। তার পর থেকেই তিনি চলে আসেন বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের নজরে। বিরল প্রজাতির এই হরিণকে বিষ্ণোই সম্প্রদায়ের মানুষ অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করেন। মামলাটির পেছনে তাঁদের ক্রমাগত লেগে থাকার কারণে ২০ বছর পর ২০১৮ সালে এসে পাঁচ বছরের জেল হয় সলমানের। পরে অবশ্য জামিনে মুক্তি পান তিনি।

বিষ্ণোই এর আগেও বলেছিল যে তাঁর বন্ধু সম্পাত নেহরা সলমান খানের বান্দ্রার বাড়ির দিকে নজরদারি চালিয়েছে। সলমানকে প্রাণে মারার জন্য সঠিক উপায় তৈরির জন্য খোঁজ চালাচ্ছিল সে। হরিয়ানা পুলিসের স্পেশাল টাস্কফোর্সের হাতে ধরা পড়ে নেহরা। আপাতত সে-ও রয়েছে কারাগারে। 

সলমানকে পরবর্তীতে 'সিকান্দর' ছবিতে দেখা যাবে। মুরুগাদোসের নির্দেশনায় নির্মিত এই ছবির নাম ঘোষণা করা হয়েছে এবারের ঈদ উপলক্ষে।


Comments

Popular posts from this blog

রামের ছবি দেওয়া প্লেটে বিরিয়ানি! বজরং দলের বিক্ষোভ ।

সকাল ১০টার পরই বাজারে আসা মানুষজনকে লাঠি হাতে সরাল পুলিস

'মানুষের এই রায়কে সম্মান জানাতে পারব না', হারের রাগে পোস্ট করেও মুছলেন বাবুল